নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মারা গেলেন জকিগঞ্জ সদর ইউপির রারাই গ্রামের মৃত সাইওব আলীর ছেলে দিনমজুর সেই আব্দুর রউফ বছু মিয়া। সোমবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার স্ত্রীসহ অবুঝ ৪টি শিশু সন্তান রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার সুপারি পাড়তে গিয়ে উচু একটি গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যান আব্দুর রউফ বছু। তখন একটি গাছের ডাল তার পেটের ভিতর দিয়ে ঢুকে বুকের দিকে বের হয়। দ্রæত তাকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখান থেকেও চিকিসৎকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠান। তখন অসহায় বছু মিয়ার পরিবার-পরিজনরা সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেন। সমাজের দানশীল ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ালেও বাঁচানো যায়নি বছু মিয়াকে। সকল প্রচেষ্টার পরও তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন।
এদিকে বছু মিয়ার মৃত্যুর পর তার পরিবার ও অবুঝ চারটি শিশু সন্তানের ভরনপোষণ নিয়ে চরম চিন্তায় পড়েছেন নিকট আত্মীয়রা। কি হবে বছু মিয়ার অবুঝ ৪টি শিশু সন্তানের। কিভাবে তারা বাঁচবে? উপার্জনকারী বাবা না ফেরার দেশে চলে গেলেন। এখন তাদের ভরনপোষণ চলবে কিভাবে। দিনমজুরী করে সংসারের খরচপাতি যোগাড় করতেন বছু মিয়া। সারাদিন কাজকর্ম করে শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতেন কিন্তু বাবা বিহীন সেই শিশুরা এখন অসহায়।
রারাই গ্রামের আবুল কালাম সিদ্দীকী উজ্জল জানান, অসহায় আব্দুর রউফ বছু মিয়া সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। এলাকার মানুষের কাজকর্ম করে বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটাতেন। তার মৃত্যুর কারণে পরিবারটির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা এই অসহায় পরিবারের প্রতি মানবিক সহযোগীতার হাত বাড়ালে অসহায় অবুঝ শিশুদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটবে। বছু মিয়ার পরিবারকে কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগীতা করতে চাইলে (০১৭১৯-৬১৫২৫৫) এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply